কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ: আহত ৫০

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ: আহত ৫০

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে কুলখানির দাওয়াতকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার লাকসাম প্রতিনিধির গাড়ীসহ, মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিক্সাসহ অন্তত ২০টি যানবাহন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আগুন দেওয়া হয়েছে অন্তত ৫টি মোটরসাইকেলে।

গতকাল শুক্রবার (০৬এপ্রিল) উপজেলা সদরের মনোহরগঞ্জ বাজার, ঝলম উত্তর ইউনিয়নের বড় কেশতলা গ্রামে কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ও লাকসাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ও তার সমর্থকরা স্থানীয় বিএনপির নেতা হুমায়ন কবির পন্ডিতের বাড়িতে তাঁর বাবার কুলখানি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যায়। ওই সময় বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় অপর গ্রুপের বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) এম আনোয়ারুল আজিমের সমর্থকেরা।

সকাল ১১ টার পর থেকে উপজেলা সদরের মনোহরগঞ্জ বাজার, ঝলম উত্তর ইউনিয়নের বড় কেশতলা, লালচাঁদপুর ও ছিখোটিয়া এলাকা দিয়ে আবুল কালাম ও তার সমর্থকেরা অনুষ্ঠানে প্রবেশ করে। এক পর্ষায়ে দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে চলতে থাকে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫০জন আহত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠি চার্জ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই ঘটনার পর লাকসাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম তার বাড়িতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার জন্য কর্ণেল আজিমকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে কুলখানি অনুষ্ঠানে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

মনোহরগঞ্জ থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত বিএনপির কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment